ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে রফতানি জটিলতা দূর করতে ‘পিটিএ’ করবে বাংলাদেশ

ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং রফতানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে উভয় দেশের মধ্যে প্রিফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে জয়েন্ট মিনিস্ট্রিয়াল স্টেটমেন্ট এ মাসেই স্বাক্ষর করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের সময় উভয় দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর মধ্যে এই জয়েন্ট মিনিস্ট্রিয়াল স্টেটমেন্ট স্বাক্ষর হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ফাইল ছবি)সোমবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিসেস রিনা সোয়েমারনো মতবিনিময় করেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ সব কথা বলেন তিনি। এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু ও অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার উচ্চ শুল্ক হারের কারণে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক রফতানিতে সমস্যা হচ্ছে। বাণিজ্য বাড়াতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক দেশ সফরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সেক্টর চিহ্নিত করে বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ায় পণ্য রফতানিতে শুল্ক ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা পাবার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশকে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।’

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র হওয়ার পরও উচ্চ শুল্ক হারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক জটিলতার কারণে প্রত্যাশিত বাণিজ্য হচ্ছে না। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশ মাত্র ৪৬.৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১ হাজার ১০৭.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। প্রিফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হলে শুল্ক হার কমানোসহ বাণিজ্য জটিলতা দূর করা সম্ভব হবে।’