ভারত সুবিধা মতো পেঁয়াজ রফতানি করে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারত তাদের সুবিধামতো পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানি করে এবং বন্ধ করে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত তাদের সুবিধা মতো পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানি করে এবং রফতানি বন্ধ করে দেয়। পেঁয়াজ আমদানি নির্ভর না থেকে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করে এবং উৎপাদনকারীদের উৎসাহ দিয়ে দ্রুত পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানো এবং চার থেকে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’

রবিবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এই সময় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের ভোক্তা এবং উৎপাদনকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আগে এলসি করা পেঁয়াজগুলো এখন দেশে প্রবেশ করছে। এগুলোর বর্তমান আমদানি মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৩৯ টাকা। নতুন আমদানির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে আসবে আগামী মার্চ মাসে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও অসাধু ব্যবসায়ীকে সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। বর্তমানে দেশে ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। সরকার পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভরতার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে। আশা করা যায় আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। পেঁয়াজের বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আলুর বাজারদর কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজারে আলুর দর নেমে এসেছে। বাজারে আলুর দাম বেড়ে যাবার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি সাশ্রয়মূল্যে বাজারে আলু বিক্রয় করেছে। আলুর মূল্য এখন স্বাভাবিক। ভোজ্য তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে। এটি একটি আমদানি নির্ভর পণ্য। সে কারণেই বাংলাদেশে এর সাময়িক প্রভাব পড়েছে। তবে, অসৎ উপায়ে যাতে পণ্যের মূল্য কেউ বাড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। এই মুহূর্তে চালের মজুত কিছুটা কম রয়েছে। সেই জন্য সরকার চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় মজুত নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চাল সরকার আমদানি করবে। প্রয়োজনে বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে।’