করোনায় বেড়েছে ওষুধ, সিগারেট ও মোবাইলের ব্যবহার

করোনার  সংকটকালে অর্থনীতির বেশিরভাগ সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও ওষুধের ব্যবসা হয়েছে রমরমা। বেড়েছে মোবাইলের ব্যবহার ও সিগারেটের কেনাবেচাও। ফলে ওষুধ, সিগারেট ও মোবাইল ফোন সেক্টর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় বেড়েছে আশাতীতভাবে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে সিগারেট, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং টেলিকম খাতে সোয়া ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে রাজস্ব আদায় করেছে  এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)। ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে এলটিইউ (ভ্যাট) থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৬ হাজার ২০৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। মার্চ পর্যন্ত এলটিইউ আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩ হাজার ৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকার বেশি ভ্যাট আদায় করেছে। অপরদিকে শুধু মার্চ মাসেই এলটিইউ ইউনিটের ভ্যাট আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের আওতায় ভ্যাট আদায় প্রবৃদ্ধির মধ্যে সিগারেট খাতের সর্বাধিক অবদান ছিল। শুধুমাত্র মার্চ মাসে সিগারেট কোম্পানিগুলো থেকে ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর মোবাইল ফোন অপারেটরদের থেকেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।

এছাড়া কোভিড মহামারি লোকজনকে বেশি বেশি ওষুধ ও সুরক্ষা সামগ্রী কিনতে বাধ্য করেছে। এর ফলে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর আয় বেড়েছে, যে কারণে রাজস্বও বেশি আদায় হয়েছে। এছাড়া সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অনেকটা অবরুদ্ধ মানুষের ঘরে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলা বৃদ্ধি, কিংবা ইন্টারনেটের সাহায্যে ওয়েবিনার সভা ও ব্রাউজিং ইত্যাদি বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে সবার, যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও।

অপরদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক খাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আদায়ে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা পেছনে রয়েছে এনবিআর।

চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮০৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এতে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।