কাই বাংলাদেশ অ্যালুমিনিয়ামে সাড়ে ৮ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি

কাই বাংলাদেশ অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের বিরুদ্ধে সাড়ে ৮ কোটি টাকারও বেশি ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির  বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর অ্যালুমিনিয়াম পণ্য উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে।’ 

জানা যায়, ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল কাই বাংলাদেশ অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত সময়কালের কার্যক্রম তদন্ত করে।

প্রতিষ্ঠানটির দাখিল করা বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন, দাখিলপত্র (মূসক-১৯) এবং বিভিন্ন সময়ে তাদের জমা দেওয়া ট্রেজারি চালানের কপি ও অন্যান্য দলিল যাচাই করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।

ভ্যাট গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত মেয়াদে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে উৎসে মূসক বাবদ ২৩ লাখ ২১ হাজার ৩১৬ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮ টাকা। এতে অপরিশোধিত ভ্যাট ফাঁকি এক কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৩২ টাকা। এই টাকার ওপরে ৮১ লাখ তিন হাজার ৩ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তদন্ত মেয়াদে কাঁচামাল ব্যবহারের ওপর এক কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৬ টাকার ফাঁকি উৎঘাটন হয়। এখানেও এক কোটি ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৬১ টাকা সুদ প্রযোজ্য।

অপরদিকে প্রতিষ্ঠানটি তদন্ত মেয়াদে মিল ফিনিস প্রোফাইলে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৭৯৬ কেজি অ্যালুমিনিয়াম কম দেখিয়ে ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪৪ টাকার ভ্যাট ফাঁকি ও অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে ৭৪ লাখ ২৬ হাজার ৮২ টাকার ফাঁকি দিয়েছে।

এভাবে  কাই বাংলাদেশ অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড চার বছরে পাঁচ কোটি ৬৮ লাখ ৮৫ হাজার ৩০০ টাকার ভ্যাট ফাঁকি, অবৈধভাবে গৃহীত রেয়াতবাবদ ২৫ লাখ ৮ হাজার ৪৩১ টাকা এবং সুদের পরিমাণ ২ কোটি ৭০ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৪ টাকাসহ মোট ৮ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার ৭২৪ টাকার ফাঁকি দিয়েছে।