চার বছরে ৮০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্য: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জিনিসপত্রের দাম কমে যায়, তখন আমাদের আমদানির মূল্যস্ফীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা বাইরে থেকে মালামাল ক্রয় করি, ডলারের রেটের কারণে সেই মালামালের দামটাও বাড়ে। তিনি বলেন, ‘২০২১-২৪ সাল পর্যন্ত ৮০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্য স্থির করেছি।’

বুধবার (১২ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তবে বাজারে জিনিসপত্রের দাম ওঠানামা করলেও ডলারের রেট খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১-২৪ সাল পর্যন্ত রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করাই ছিল আজকের অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রধান কাজ। এ জন্য সুনির্দিষ্ট একটি প্রস্তাব ছিল। কীভাবে আমরা রফতানি বাণিজ্য করবো—তা নীতিনির্ধারণ করাই ছিল প্রধান কাজ। আমরা ২০২১-২৪ সাল পর্যন্ত এর খসড়া নীতিনির্ধারণ করেছি। এটা অনুমোদনও দিয়েছি। বিদ্যমান রফতানি বাণিজ্যের যে লক্ষ্যমাত্রা, সেটি ছিল ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটিকে বাড়িয়ে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। এর জন্য আনুষঙ্গিক যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর জন্য যা যা করা দরকার, তা করবো।

রফতানি নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত নীতিতে আগে অধ্যায় ছিল ৮টি। এখন তা ৯টি করা হয়েছে। অগ্রাধিকার খাতে সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য এবং সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ কীভাবে সম্ভব, সেটি এখানে রয়েছে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নত দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকৌশল প্রণয়নের বিষয়েও বিস্তারিত রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘রফতানি পণ্য উৎপাদনে টেকসই উন্নয়ন নীতিনির্ধারণে কৌশল প্রয়োজন। আইসিটি সার্ভিসেস এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতসহ সেবা খাতে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমদানি নীতির আদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের ক্ষেত্রগুলোর সামঞ্জস্য বিধান রাখাটাও জরুরি। এছাড়া বিনিয়োগ সহজকরণের নির্দেশনা ও পণ্য সেবা বহুমুখীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কনসেপ্টকে জোরদার করার প্রস্তাবও এসেছে।’’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু রফতানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। আমদানির জন্য সেখানে ফিন্যান্সিং করা লাগে। তাই মার্কেট ওঠানামা করবেই। সেটা অনেক বেশি ওঠানামা দেখতে পারবো না।’ আমাদের এখানে ডলারের রেট বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান অর্থমন্ত্রী।