জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকের মৃত্যু বন্ধে পদক্ষেপ চায় এনবিআর

পুরনো জাহাজ ভাঙতে গিয়ে প্রতি বছর শত শত শ্রমিক মারা যাচ্ছেন। এ মৃত্যু বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরের কাস্টমস সদস্য (শুল্ক নীতি) মাসুদ সাদিক এ আহ্বান করেন।

মাসুদ সাদিকের সভাপতিত্বে এ সময় এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা ও সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন, শিপিং এজেন্ট  অ্যাসোসিয়েশন, ফ্রেইট ফরওয়াডিং অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠন বাজেটবিষয়ক প্রস্তাবনা দিয়েছে।

এসময়  এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদেক বলেন, ‘প্রতি বছর পুরনো জাহাজ ভাঙতে গিয়ে শত শত শ্রমিক মারা যাচ্ছেন। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন? রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে শ্রমিক-মৃত্যু বন্ধ করতে হবে। গার্মেন্টস খাতে কোনও দুর্ঘটনা হলে বড় ধরনের পদক্ষেপ দেখতে পাই। আপনারা কেন শিপইয়ার্ডগুলোকে আধুনিক করছেন না?’

প্রসঙ্গত, দেশের শিল্প খাতগুলোর মধ্যে বড় ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসেবে পরিচিত জাহাজভাঙা শিল্প। গত এক দশকে এ খাতেই শ্রমিক মারা গেছেন ১৫৬ জন। 

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ১৫০টি শিপইয়ার্ড নিবন্ধিত। তবে মাত্র ৪০টির মতো শিপইয়ার্ড তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 

প্রাক-বাজেট আলোচনায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. সুলতান হোসেন খান কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের প্রস্তাব করেন।