আরও ৫ বছর বিদ্যমান কর সুবিধা চায় বিজিএমইএ

রফতানিমুখী পোশাক শিল্পে বিদ্যমান উৎসে কর ও করপোরেট কর সুবিধা আরও  ৫ বছর বলবৎ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তবে উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ আয়কর মওকুফের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা ছাড়াও আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন এনবিআর কাস্টমস সদস্য (শুল্ক নীতি) মাসুদ সাদিক, সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা, সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক বলেন,  ‘উৎসে কর বিদ্যমান ০.৫০ শতাংশ, করপোরেট কর সাধারণ কারখানার জন্য ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আরও  ৫ বছর পর্যন্ত বহাল রাখার অনুরোধ করছি। আর উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ হারে যে আয়কর নেওয়া হয়, তা বাতিল করার অনুরোধ করছি।’

তিনি বলেন, ‘রফতানির ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে বেশি সমস্যা হচ্ছে— এইচএস কোড দিয়ে কোনও পণ্য চিহ্নিতকরণ। কোডের পণ্য জাহাজীকরণ করতে জটিলতার কারণে ক্রেতার পণ্য পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এমন জটিলতা পরিহারের অনুরোধ করছি।’

প্রাক বাজেট প্রস্তাবনায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পোশাক শিল্পে সাব কন্ট্রাক্টের বিপরীতে ভ্যাট আদায় থেকে অব্যাহতি, অনূর্ধ্ব ১০ কেজি ক্যাপাসিটির ওয়াশিং ও ড্রাই মেশিন আমাদানিকালে মূলধনি যন্ত্রপাতির ন্যায় রেয়াতি হারে শুল্কায়নের সুযোগ, সব অগ্নি নির্বাপণ পণ্য বা উপকরণ বিকল বা নষ্ট হলে, অগ্নি প্রতিরোধক দরজার ন্যায় একই শর্তে প্রতিস্থাপনের জন্য রেয়াতি হারে শুল্কায়নের মাধ্যমে আমদানি সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।