‘মোবাইল ব্যাংকিং তদারকিতে বিশেষ কর্তৃপক্ষ থাকা উচিত’

মোবাইল ব্যাংকিং সেবার (এমএফএস) ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকেরা। প্রতিটি প্রতারণার ক্ষেত্রে আর্থিক পরিমাণ গড়ে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা। মোবাইলে আর্থিক সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। তাই তদারকির জন্য একটি বিশেষ কর্তৃপক্ষ থাকা উচিত।

বুধবার(৩০ মার্চ) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সেবায় ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণার ভিত্তিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই গবেষক আশিকুর রহমান। ৭ হাজার ২৭৯ জন গ্রাহক ও এজেন্টের মতামত নিয়ে গবেষণাটি তৈরি করা হয়।

মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, প্রতিটি প্রতারণার ক্ষেত্রে আর্থিক পরিমাণ গড়ে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা। প্রতারণার প্রতিকার না পেলে অপারেটর পরিবর্তন করে ফেলেন ভুক্তভোগী। মোবাইল আর্থিক সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। তাই তদারকির জন্য একটি বিশেষ কর্তৃপক্ষ থাকা উচিত। ওই কর্তৃপক্ষ ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, যারা মুঠোফোন ব্যবহার করে সেবা নেন, তাদের সচেতন হতে হবে।

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, এ ধরনের প্রতারণা পুরো এমএফএস খাতের সমস্যা।

পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনার সময় গত বছর এ খাতে লেনদেনর প্রবৃদ্ধি ২৮ শতাংশ হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।