তৈরি পোশাকে বাংলাদেশ-দ. কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে তথ্যচিত্র

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের সূচনালগ্নে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ১৯৭৮ সালে দেউ করপোরেশন নামের একটি কোরিয়ান কোম্পানি ও বাংলাদেশের দেশ গার্মেন্ট-এর মাধ্যমে প্রথম এর সূচনা হয়। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় কীভাবে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প বিকশিত হলো তার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে দেশটি।

দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কোরিয়া-বাংলাদেশ আরএমজি সহযোগিতার ওপর এই বিশেষ ডকুমেন্টারি তৈরি করা হয়েছে।

দেশ গার্মেন্টে নিয়োগকৃত ১৩৩ জন বাংলাদেশি ১৯৭৯ সালে কোরিয়ায় গিয়ে ছয় মাসের জন্য দেউ করপোরেশনে প্রশিক্ষণ নেন। দেশে ফিরে তারা সারা দেশে কারখানা তৈরি করে বাংলাদেশের আরএমজি শিল্পের জন্মে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন।

ওই প্রামাণ্যচিত্রে দেশ গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান রোকেয়া কাদের এবং দেশ গার্মেন্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নূরুল কাদেরের স্ত্রী যৌথ উদ্যোগের শুরুর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।

এছাড়া, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও (বাংলাদেশের আরএমজি শিল্পের পথিকৃৎ ও বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি) এতে কোরিয়া-বাংলাদেশ আরএমজি সহযোগিতায় তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের আরএমজি শিল্পে প্রথম বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম কোরিয়ান বিনিয়োগ কোম্পানি ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সংও বাংলাদেশে তার ব্যবসার গল্প বলেছেন। যার মধ্যে চট্টগ্রামে কেইপিজেড, কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন প্রতিষ্ঠার কথাও রয়েছে।

বর্তমানে, বিনিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে দ. কোরিয়া বাংলাদেশে ৫ম বৃহত্তম প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারী। বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগে আরএমজি খাতের অবদান ৭০ শতাংশেরও বেশি। যা ২০২১ সালে ১৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।