প্রস্তাবিত বাজেটের প্রশংসা করলেন রফতানিকারকরা

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ইএবি) সভাপতি সালাম মুর্শেদী।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‌প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে অনেক বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম— কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অধিক খাদ্য উৎপাদন ও সারের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, স্বাস্থ্য ও মানব সম্পদ উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রফতানি বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন ও সম্পন্নকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, বয়স্ক ভাতা কর্মসূচী, প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচী, তৃতীয় লিঙ্গ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলা ভাতা কর্মসূচী প্রভৃতির আওতা বৃদ্ধি। এই অগ্রাধিকারযুক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইএবি বলছে, রফতানিমুখী সব শিল্পের উৎসে কর ০.৫% আগামী ৫ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

পরিবেশবান্ধব কারখানার অন্যতম উপাদান সোলার প্যানেল আমদানিতে বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্কহার ১% না বাড়িয়ে পূর্বের ন্যায় শূন্য করার দাবি করেছেন সালাম মুর্শেদী। তিনি ব্যাংক সুদের উৎসে করহার কোম্পানি করদাতার জন্য পূর্বের ন্যায় ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেন।

ভ্যাট খেলাপি হলে প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে মূসক কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে যা বাস্তবায়িত হলে শিল্পে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে বলবে মন্তব্য করেন তিনি।

ধারাবাহিক তিন বছর বা ততোধিক সময়ব্যাপী কোনও কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পরিচালকদের নিকট হতে বকেয়া অবিতর্কিত কর আদায়ের বিধান রাখা এবং সরকারের অবিতর্কিত রাজস্ব দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিধান প্রবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মাংস রফতানিতে ফ্রিজার ভ্যান এবং চিলার ভ্যান অপরিহার্য বিধায় এগুলোকে আমদানির ক্ষেত্রে মূলধনী পণ্য হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক অব্যাহতি দিয়ে মাংস রফতানিতে বিশ্ববাজারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য আবেদন করেন সালাম মুর্শেদী। সসেজ, পেপারনি, সালামি ইত্যাদি একটি সম্ভাবনাময় রফতানি খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে উপকরণ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং প্যাকেজিং পণ্য আমদানি নির্ভর বিধায় উপরোক্ত উপকরণ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।