রফতানিতে রেকর্ড হলেও বেড়েছে ঘাটতি

সদ্য বিদায়ী জুনে রফতানি আয়ে রেকর্ড গড়লেও বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণ বাড়ছে। বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৮১ কোটি ডলার।

সোমবার (৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) যে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই আমদানিতে জোয়ার বইছে। এ কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে চলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত পণ্য বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৮১ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২ হাজার ৭০ কোটি ডলার। পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) বাণিজ্য ঘাটতি দুই হাজার ২৮০ কোটি ডলার।

বিদায়ী অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত রফতানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আমদানি বেড়েছে ৩৯ দশমকি শূন্য ৩ শতাংশ। আলোচিত ১১ মাসে রফতানি থেকে দেশ আয় করেছে ৪ হাজার ৪৫৮ কোটি ডলার।

এ সময়ে পণ্য আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। আমদানি ব্যয় থেকে রফতানি আয় বাদ দিলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় তিন হাজার ৮১ কোটি ডলার।

অবশ্য করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছর শেষে রফতানি আয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। অর্থবছর শেষে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ডলার রফতানি আয় হয়েছে।

গেলো অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯.৭৩ শতাংশ বেশি রফতানি আয় করেছে বাংলাদেশ। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি।

বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৮৮১ কোটি ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে দেশের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২৩৪ কোটি ডলার। সেবা খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৫২ কোটি ডলার। আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২৫৩ কোটি ডলার।

চলতি হিসাব ভারসাম্যে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে এই ঘাটতির (ঋণাত্মক) পরিমাণ ১ হাজার ৭২৩ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২৭৮ কোটি ডলার।

এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে সামগ্রিক লেনেদেনে ঘাটতির পরিমাণ ৪৩০ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে এই সূচকে ৮৫১ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।