কাঁচা পাট রফতানিকারকদের ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা

কাঁচা পাট রফতানিকারকরা ব্যাংকের ঋণ ১০ বছরে পরিশোধ করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জারি করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কাঁচা পাট রফতানিকারকদের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সহায়তার ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়, কাঁচা পাট রফতানিকারক ঋণগ্রহীতাদের চলতি বছরের ৩১ মার্চভিত্তিক ঋণ হিসাবের মোট দায় নিরূপণপূর্বক ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে দুই বছরের মরাটরিয়াম সুবিধাসহ ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুবিধা দেওয়া হবে।

এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ হিসাবের অনারোপিত সুদ ১০০ শতাংশ এবং আরোপিত সুদ বিধি মোতাবেক মওকুফ বিবেচনা করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্লক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই শতাংশ হারে ডাউনপেমেন্ট আদায় করতে হবে।

ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত ঋণের ওপর কস্ট অব ফান্ড হারে সুদ আরোপ করা। রফতানি বিল অথবা বিক্রয় বিল থেকে মরাটরিয়াম পিরিয়ডে বিল মূল্যের দুই শতাংশ এবং মরাটরিয়াম পিরিয়ড পরবর্তীকালে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ কেস টু কেস ভিত্তিতে  নিয়মিত কর্তনপূর্বক ফান্ড ডেভেলপমেন্ট করা, যা মূলত কিস্তি সমন্বয় ব্যবহার করা। নতুন ঋণ মঞ্জুরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম জমা গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক নিজে  বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। ঋণের বিপরীতে জামানতের বিষয়ে ব্যাংকের বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করা।

সার্কুলার জারির ছয় মাসের মধ্যে দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্ট জমা দিয়ে যারা আবেদন করতে ব্যর্থ হবেন, তাদের জন্য এফডিআর নগদায়নপূর্বক ঋণ হিসেবে জমা করে অবশিষ্ট পাওনা আদায়ের নিমিত্তে প্রচলিত নীতিমালার আলোকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ঋণ হিসাবগুলো ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হয়ে গেলে বিচারাধীন এ সংক্রান্ত চলমান মামলাগুলো সোলেনামার মাধ্যমে উভয়পক্ষ উদ্যোগে নিষ্পত্তি করার বিধান রাখা।