বিজিএমইএ-জিনোলজিয়া একসঙ্গে কাজ করবে

বিজিএমইএ এবং বিশ্বখ্যাত টেক্সটাইল প্রযুক্তি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জিনোলজিয়া বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে আরও  দক্ষ ও টেকসই হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনমূলক প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়া গ্রহণে সহায়তার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে জিনোলজিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এনরিক সিলা সাক্ষাৎকালে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন, কান্ট্রি ডিরেক্টর তারিন চৌধুরী এবং ডিভিশন ডিরেক্টর সিইএ মনুজ কাঞ্চন।

জিনোলজিয়া বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে সর্বশেষ টেক্সটাইল প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করার জন্য সেন্টার অব ইনোভেশন,

ইফিশিয়েন্সি এবং ওএসএইচ (উদ্ভাবনা, দক্ষতা এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র)-কে প্রযুক্তিগত জ্ঞান দিয়ে সহায়তা প্রদান করবে।

বিজিএমইএ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রটির লক্ষ্য হলো— শিল্পের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান দিয়ে শিল্পকে সহায়তা করা, যাতে করে শিল্প আরও দক্ষ ও টেকসই হয়ে উঠতে পারে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যে মানুষের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে টেকসই উপায়ে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই জিনোলজিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টি এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক পোশাক শিল্প ভূ-গর্ভস্থ থেকে উত্তোলিত মিঠা পানি বিপুল পরিমাণে ব্যবহার করে। বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় পোশাক

ব্র্যান্ডগুলো পোশাক তৈরির প্রক্রিয়ায় পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার ওপর জোর দিচ্ছে। বিজিএমইএ ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পদের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প উপায়ে পানির সংস্থান (পানির উৎসে বৈচিত্র্য আনয়ন) করতে অঙ্গীকারাদ্ধ।’

ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘বিজিএমইএ তার কৌশলগত রূপকল্পে ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের এ ধারাবাহিক যাত্রায় এই ধরনের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ করা অপরিহার্য।’

জিনোলজিয়া’র সিইও এনরিক সিলা বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে পানিই হবে ব্যয়ের প্রধান চালক। তাই, বাংলাদেশকে জলবিহীন টেক্সটাইল হাব হতে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে আমরা গ্রহ এবং আমাদের ক্রেতা বিজিএমইএ’র সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক স্বার্থ একীভূত করবো।’

তিনি বলেন, ‘জিনোলজিয়া কিছু যুগান্তকারী ওয়াশিং টেকনোলজি উদ্ভাবন করেছে, যা পণ্যের ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করে এবং জলজ ইকো-সিস্টেমে দূষণের মাত্রা কমিয়ে দেয়।’