কৃষিঋণ পুনঃতফসিলে বাধা নেই

তিন বছরের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে কৃষিঋণ। উৎপাদন কার্যক্রম গতিশীল ও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে এই বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলারের শর্ত এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, বিআরপিডি সার্কুলার (নম্বর-১৬/২০২২, ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার) জারি থাকা সত্ত্বেও স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ যথারীতি পুনঃতফসিল করা যাবে। একইসঙ্গে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল কৃষি খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ পরিশোধ সহজ করা এবং স্বাভাবিক ঋণপ্রবাহ বজায় রাখতে স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করে স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ পুনঃতফসিলের তারিখ থেকে ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ তিন বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। ক্ষেত্রবিশেষে বিনা ডাউন পেমেন্টেও এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে—ঋণ পুনঃতফসিলের পর এ খাতের ঋণগ্রহীতাদের কোনও অর্থ নতুনভাবে জমা ছাড়াই পুনরায় নতুন ঋণ দেওয়া যাবে।

সার্টিফিকেট মামলা চলাকালীন গ্রাহকের সঙ্গে সমঝোতার (সোলেনামা) মাধ্যমে সার্টিফিকেট মামলা স্থগিত বা নিষ্পত্তি করে ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।

ইতোপূর্বে পুনঃতফসিল করা স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণের ক্ষেত্রেও নতুন এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে।

কৃষিঋণ সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।