শিল্পের আমদানি মূল্য পরিশোধে ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন

রফতানি এবং উৎপাদনমুখী শিল্প খাতের পরিবেশবান্ধব মূলধনী যন্ত্রাদি ও যন্ত্রাংশের আমদানি মূল্য পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড (জিটিএফ) নামের এ তহবিল থেকে স্বল্প সুদে দেশীয় মুদ্রায় (টাকা) পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হবে। 

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

রফতানি এবং উৎপাদনমুখী শিল্প খাতে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব মূলধনী যন্ত্রাদি এবং যন্ত্রাংশের আমদানি বা কেনার সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার এ তহবিল গঠন করা হয়েছে। পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার মেয়াদকাল হবে ৫-১০ বছর (প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী)। 

পরিবেশবান্ধব মূলধনী যন্ত্রাদি ও যন্ত্রাংশের আমদানিমূল্য পরিশোধের পর ব্যাংকের অর্থায়ন অথবা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত যন্ত্রাদি ও যন্ত্রাংশ কেনার বিপরীতে এ তহবিল হতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হবে।

এ তহবিলের আওতায় একজন ঋণ গ্রহীতার ঋণ বা বিনিয়োগ-মূলধন অনুপাত হবে সর্বোচ্চ ৭০:৩০। তবে কোনও একক ঋণগ্রহীতা এ তহবিলের আওতায় কোনোভাবেই ২০০ কোটি টাকার অধিক ঋণ সুবিধা প্রাপ্য হবে না। খেলাপি ঋণগ্রহীতা পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে না। পর পর দুটি রফতানি বিল সম্পূর্ণ বা আংশিক অপ্রত্যাবাসিত থাকলে এ তহবিলের সুবিধা পাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক এক শতাংশ সুদে অর্থ দেবে এবং গ্রাহক পর্যায়ে সুদ বা মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ। মেয়াদি ঋণ বা বিনিয়োগ পিএফআই ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ ১ বছর।

সব রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার আওতায় ঋণ দিতে পারবে। তবে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক এ তহবিলের অর্থ নিতে হলে খেলাপি ঋণের  হার ১০ শতাংশের কম হতে হবে।