বাংলাদেশ বিশ্বে হালাল পণ্য রফতানি করতে পারবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে ব্যবসায়ীদের সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সময়োপযোগী কৌশলগত সহায়তা দিয়ে ব্যবসার গতি বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশের রফতানির সিংহভাগ দখল করে আছে তৈরি পোশাক খাত। এর পাশাপাশি পাট-পাটজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রো প্রডাক্টস, প্লাস্টিক প্রডাক্টস এবং সার্ভিস সেক্টর রফতানি বৃদ্ধিতে খুবই সম্ভাবনাময়।’

রবিবার (১২ মার্চ) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে হল অব ফেমে এফবিসিসিআই আয়োজিত চলমান বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ ‘বাংলাদেশ: ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিস ইন কি সেক্টরস ফর ইনভেস্টর্স টু লিভারেজ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার রফতানি বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে রফতানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা, ভ্যাট-ট্যাক্সে সুবিধা দিচ্ছে। এ ছাড়া শিল্পের কাঁচামাল ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিতে ট্যাক্স সুবিধা দিচ্ছে। ব্যাংকিং অগ্রাধিকার ও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে।

হালাল পণ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বে হালাল পণ্যের একটি বড় বাজার রয়েছে। এ বাজারে আমাদের হালার পণ্য রফতানির সক্ষমতা রয়েছে। হালাল পণ্যের সনদ প্রদানের জন্য একটি অথরিটি গঠনের জন্য কাজ শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। হালাল সার্টিফিকেশন অথরিটি গঠন করা হলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্য রফতানি করতে পারবে।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সফলভাবে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কয়েকটির কাজ ইতোম মধ্যে শেষ হয়েছে। বিশ্বের বেশির ভাগ গ্রিন ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হয়েছে। নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য শ্রেষ্ঠ স্থান।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে কি নোট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সেমিনারে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং হামিম গ্রুপের এমডি এ কে আজাদ, ইয়াং ওয়ান করপোরেশনের সিইও কি-হাক সাং, মারুবেনি করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিইও মাসুমি কাকিনোকি, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রোমশন অথরিটির ডিজি জং ওন কিম এবং কমনওয়েল্থ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলর চিফ এক্সিকিউটিভ রোসি গ্লাজিব্রোক।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারের মিডিয়া মেলায় এফবিসিসিআই আয়োজিত চলমান বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩-এ ‘কনজিউমার গুডস লিভারাইজিং গ্রোয়িং মিডিল অ্যান্ড এফ্লোয়েন্ট ক্লাস ফর আ ভাইব্রান্ট কনজিউমার গুড সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।