‘গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণে জোর দিতে হবে’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, শুধু গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নির্ভর না করে রফতানির জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। এটি করা সম্ভব হলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।

বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০২০-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, শুধু রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নির্ভর করা যাবে না। রফতানিযোগ্য আরও অনেক পণ্য আছে। যত বেশি পণ্য আমাদের রফতানিতে অন্তর্ভুক্ত হবে, তত বেশি দেশে রফতানি করা যাবে। সার্বিক বাণিজ্যের কলেবর ততই বৃদ্ধি পাবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রফতানি এখনও তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশকিছু নতুন পণ্য ও সেবা আমাদের রপ্তাফতানির ঝুড়িতে সংযোজিত হয়েছে।’ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রফতানি আয় একশ’ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

জ্ঞানভিত্তিক একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্যের উত্তরোত্তর উন্নয়নের কোনও বিকল্প নেই উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘বৈশ্বিক সব প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, পণ্যের মান উন্নয়ন এবং রফতানি তালিকায় নতুন নতুন পণ্য যুক্ত করতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে স্থানীয় শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে রফতানি বাণিজ্যের প্রসার এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। এ সব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে রফতানি আয় বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় সাফল্য অর্জনকারী দেশের খ্যাতিমান রফতানিকারক, শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করাই হচ্ছে এ ট্রফি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য। এই ট্রফি বিজয়ীদের আরও উৎসাহিত এবং অন্যদের নতুন উদ্যোগে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র  সভাপতি মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান।

উল্লেখ্য, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সর্বোচ্চ রফতানি আয়ের ভিত্তিতে সেরা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ ২৮টি পণ্য ক্যাটাগরিতে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রফতানি ট্রফি দেওয়া হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রফতানি ট্রফি প্রদান করা হয়।