কিছু পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে: বিজিএমইএ

শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া বেশ কিছু পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আশুলিয়া এবং মিরপুরের প্রায় ৯৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এছাড়া কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকায় ৩টি পোশাক কারখানা এখনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’

রবিবার (১২ নভেম্বর) পর্যন্ত ২৫টি ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুরের ঘটনা এবং ১৩০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ আছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন ফারুক হাসান।

পোশাক শিল্পের শ্রম পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজিএমইএ -এর সভাপতি বলেন, ‘বিজিএমইএ’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার শ্রমিক ভাইবোন, শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশ, গনমাধ্যমের কর্মীরা বলেছেন যে, উল্লিখিত এলাকা দু’টির শ্রমিক ভাইবোনেরা কারখানায় কাজ করতে চায়। সে কারণে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকায় তিনটি বাদে সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কারখানাগুলোতে স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার উপরোল্লিখিত তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ভাইবোনদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনটি কারখানার শ্রমিক ভাইবোনরা কাজ করতে চাইলে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে।’

তিনি জানান, আশুলিয়া এবং মিরপুরের প্রায় ৯৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতেও আলোচনা চলছে। শ্রমিক ভাইবোনরা কাজ করতে চাইলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে।’

বিজিএমইএ সভাপতি আরও জানান, এছাড়া পোশাক শিল্প অধ্যুষিত অন্যান্য এলাকা যেমন- টঙ্গী, গাজীপুর, শ্রিপুর, মাওনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ, ডিএমপি, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার সব পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে এবং সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় আছে।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে,   শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে, কারখানাগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে ইতিবাচক জনমত প্রচার করে গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিজিএমইএ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে যে, পোশাক শিল্পের বর্তমান পর্যায়ে আসার পেছনে গণমাধ্যমের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে।’

বিজিএমইএ বিশ্বাস করে, পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় রেখে শিল্পকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শ্রমিক ভাইবোন, শ্রমিক সংগঠন, সরকার, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশসহ সব আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় জনসাধারণ সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা রয়েছে। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিল্পের প্রতি সহমর্মিতা আর একাত্মতা পোষণ করে, শিল্পে সহযোগিতা প্রদান করে শিল্পকে সচল রেখেছেন। আমরা সবার কাছে চিরঋণী।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করি, পোশাক শিল্পে এই সহযোগিতা প্রদান সব সময়েই অব্যাহত থাকবে।’