বিমাপণ্য বিক্রি করতে পারবে ব্যাংক

দেশে চালু হলো ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’। এর ফলে এখন থেকে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক ইচ্ছে করলে বিমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে। একইসঙ্গে বিমাপণ্য বিপণন ও বিক্রির ব্যবসাও করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারের অনুমোদন নিয়ে সব তফসিলি ব্যাংক বিমা কোম্পানির ‘করপোরেট এজেন্ট’ হিসেবে বিমাপণ্য বিপণন ও বিক্রির ব্যবসা করতে পারবে।

ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে জীবনবিমা পলিসি বিক্রি করা হয়। এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও এ পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।  প্রতিবেশী দেশ ভারতে এটি চালু হয় প্রায় তিন যুগ আগে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায়ও ব্যাংকাস্যুরেন্সে সফল হয়েছে।

অনুমোদিত নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্যাংকাস্যুরেন্স বাস্তবায়িত হবে মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর শাখার মাধ্যমে। সহজ কথায় বলতে গেলে বিমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ রয়েছে যে, বিমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা তুলনামূলক কম— তাই ব্যাংকাস্যুরেন্স হতে পারে মানুষের ভরসার জায়গা।

ধারণাটি এমন যে, বিমাপণ্যের জন্য গ্রাহকদের বিমা কোম্পানিতে যেতে হবে না, ব্যাংকের শাখায় গেলেই চলবে। অর্থাৎ ব্যাংক তার নিজের গ্রাহকের কাছে ব্যাংকিংপণ্যের পাশাপাশি বিমাপণ্যও বিক্রি করবে। পণ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— পেনশন, স্বাস্থ্য, দুর্ঘটনা, দেনমোহর, শিক্ষা, ওমরাহ হজ ইত্যাদি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো ব্যাংকাস্যুরেন্সের এজেন্ট হতে পারবে। এজন্য বিমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে কোনও ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট তিনটির বেশি বিমা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। এ জন্য বিমা কোম্পানিকে আইডিআরএ এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্টকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যাংকের মোট শাখা রয়েছে ১১ হাজার ২৩৯টি। এর মধ্যে গ্রামে শাখা আছে ৫ হাজার ২৮৭টি