বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকতে পারে: বিশ্বব্যাংক

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা  জিডিপি কমবে বলে আবারও পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।  গত অক্টোবরে প্রকাশিত বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ এ একই পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকতে পারে। 

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অনুমান সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অবশ্য সম্প্রতি সংশোধন করে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশিমক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাবার পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আমদানিতে বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রফতানি আশানুরূপ বাড়ছে না। এ বিষয়টি অর্থনৈতকি প্রবৃদ্ধির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে কিছু সময় অনিশ্চয়তা ছিল, যা বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে প্রভাব ফেলতে পারে।