রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে বিশেষ ঋণ সুবিধা পাবে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের মালিকরা।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। এতে করে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম এবং রফতানিমূল্য যথাসময়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছেন না মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতা ঠিক রাখতে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে।
এতে বলা হয়েছে, সচল রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য চলতি মূলধন ঋণসীমার বাইরে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহকের সক্ষমতা বিবেচনায় মেয়াদি ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে। এছাড়া ঋণ সুবিধার পরিমাণ ঋণগ্রহীতা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিগত তিন মাসের প্রদত্ত গড় বেতন ও ভাতার বেশি হবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠান মোট উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ রফতানি করে, তারা রফতানিমুখী শিল্প এবং যে সব প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের মে থেকে জুলাই মাসের বেতন পরিশোধ করেছে, তারা সচল হিসেবে বিবেচিত হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সচল ও রফতানিমুখী হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠনের (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ইত্যাদি) প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ঋণের বিপরীতে বাজারভিত্তিক প্রচলিত সুদহার প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঋণসহ গ্রাহকের মোট ঋণ একক গ্রাহক ঋণ সীমার মধ্যে থাকতে হবে। ঋণের অর্থ মেয়াদি ঋণ আকারে ৩ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ এক বছরে সমকিস্তিতে (মাসিক/ত্রৈমাসিক) আদায় করতে পারবে ব্যাংক এবং এ ঋণের সুদ ছাড়া অন্য কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুদ, মুনাফা, ফি ও চার্জ নিতে পারবে না।