ভিয়েতনামে পণ্য খালাস এক দিনে, বাংলাদেশে লাগে এক সপ্তাহ: অ্যামচেম সভাপতি

ভিয়েতনামে যেখানে মাত্র এক দিনেই আমদানি করা পণ্য খালাস হয়ে যায়, সেখানে বাংলাদেশে একই প্রক্রিয়ায় লাগে সাত থেকে আট দিন— এমন বাস্তবতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)-এর সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।

শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য পুনর্গঠন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ এরশাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি পণ্য খালাস করতে গড়ে ১৭টি সই লাগে এবং ৭ থেকে ৮ দিন সময় লেগে যায়। অথচ আমাদের প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামে একই কাজ সম্পন্ন হয় এক দিনের মধ্যেই। এই ব্যবধান আমাদের রফতানির সক্ষমতাকে খর্ব করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যেসব পণ্য রফতানি করে, তার একটি বড় অংশের কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। কিন্তু পণ্য খালাসে এই দীর্ঘসূত্রতা উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করছে। দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া না হলে বিনিয়োগকারীরাও নিরুৎসাহিত হবেন।’

শুল্ক বিভাগ ও বন্দরের আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে অ্যামচেম সভাপতি বলেন, ‘শুধু প্রদর্শনী বা রোড শো করে রফতানি বাড়ানো যাবে না। কেন আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে, তা নিয়ে গবেষণা দরকার। দেশে ৫০টির বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, কিন্তু সেগুলোর গবেষণার প্রভাব কোথাও দেখা যায় না।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থবিষয়ক বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সরকার ব্যবসায়বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব ধরনের নীতিগত সহায়তা দিতে আগ্রহী।’

বক্তারা বলেন, বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক সংস্কার, পণ্য খালাস প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং গবেষণানির্ভর নীতিমালা—এসব কিছুর সমন্বয় ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে না।