মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালপয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত মার্চ মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। সুতরাং এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য প্রকাশ করেন।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত মার্চ মাসে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশে। ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে খাদ্য-বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশে এটুকু মূল্যস্ফীতি থাকবেই।’
পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশে। যা গত ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

গত মার্চে গ্রামে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশে। যা গত ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৩ দশমিক শূন্যে ৪ শতাংশ। খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশে। যা গত ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এছাড়া পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি  বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশে, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৭ দশমিক ২২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশে, যা  ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১২ শতাংশে, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।

/এসএনএইচ/এএইচ/আপ-এআর/