বছরে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে ৩ হাজার মেগাওয়াট: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও অন্যান্যরা (ছবি: সংগৃহীত)বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতের চাহিদা ১ হাজার ২০০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিবেচনা করা হলেও বাস্তবে বছরে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট করে চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি এই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজের গতিও বাড়িয়ে দিতে হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত এক চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

চাঁদপুরে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তেলভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে দেশ এনার্জি চাঁদপুর পাওয়ার কোম্পানি। এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে দেশ এনার্জির সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চুক্তিস্বাক্ষর করে। বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে সই করেন পিডিবির সচিব মিনা মাসুদউজ্জামান ও দেশ এনার্জি চাঁদপুর পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাভিদুল হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কেন্দ্রটি থেকে সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনবে ১০ দশমিক ৬৫ সেন্ট, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৩৭৭২ টাকা। আগামী ৯ মাসের মধ্যে কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ২০১৮ সালের ৯ মে এই কেন্দ্র থেকে ফার্নেস তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১৫ বছর এখান থেকে বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা পূরণে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় সরকারি খাতেরও সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।’

নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ সচিব। তার কথায়, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে দেশ এনার্জি। বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির আগেই কেন্দ্রটি স্থাপনের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছে তারা। যা অন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে।’

পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’