বিদ্যুৎ ও পানির চাহিদা পূরণে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো দরকার: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

‘ভবিষ্যতের শহর: বিদ্যুৎ ও পানি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদস্থিতিশীল পণ্য সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া উন্নত শহরের জন্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের সৃজনশীল শহরের বিদ্যুৎ ও পানির চাহিদা পূরণে প্রয়োজন পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামীর চাহিদা সমনে রেখেই বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। এর সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।’ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবীতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফিউচার এনার্জি সামিট (ডব্লিইএফইএস)-এর সমাপনী দিনে ‘ভবিষ্যতের শহর: বিদ্যুৎ ও পানি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনের প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে এলপিজি বাংলাদেশে প্রাধান্য পাবে। এটা গাড়িতেও ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে এলএনজির পাশাপাশি কয়লাকেও রেখেছি। ঢাকা শহরের ছাদগুলো ব্যবহার করে প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। নেট মিটারিংয়ের মাধ্যমে ছাদ ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকে জনপ্রিয় করা হচ্ছে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নীতিমালা করা হয়েছে। সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার ও বিদ্যুতের সাশ্রয় নিয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ ক্যাবল ও সাব স্টেশন, ছোট ট্রান্সফরমার, প্রিপেইড মিটার, সচেতনতা বৃদ্ধি, স্কেডা ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট শহর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের চারদিকে চারটি নদী আছে। সচেতনতা বাড়ানোর মাধমে পানি সরবরাহ করা হলে ঢাকা শহর আরও প্রাণবন্ত হবে। জ্বালানি, পরিবেশ ও সমতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা শহরের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।