‘রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরকার যথেষ্ট নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়নি’

রামপাল, রূপপুর ও জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচকরারূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরকার যথেষ্ট নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছে ‘তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দররক্ষা জাতীয় কমিটি’র সদস্য মওদুদ রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্তত ৩০ বছরের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যালোচনা করে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করতে হয়। প্রকল্প গ্রহণের আগে সবপক্ষের অভিমত নিতে হয়। যার কোনোটিই সরকার করেনি। বলা হচ্ছে এখানে যথেষ্ট নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনোভাবে কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু যদি ক্ষতি হয়ে যায়,তার দায় কে নেবে?’ বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে রামপাল, রূপপুর ও জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় আনু মুহম্মদ বলেন, ‘রূপপুরের পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন গোপনীয় বলে প্রকাশ করা হয়নি। কাজেই বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। জনসাধারণকে অন্ধকারে রেখে এ ধরনের প্রকল্প দেশের উন্নয়নে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘রামপাল নিয়ে আমরা সরকরাকে যে কথা বলেছি, তারও কিছুই সরকার শোনেনি। তারা একতরফাভাবে সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে।’ তিনি প্রকল্পটি থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান।

আনু মুহম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার লিমিটেড (এনটিপিসি) সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বলছে, কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে সুন্দরবনের বাফার জোনের ৪ কিলোমিটার দূরে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কেন্দ্র নির্মাণ না করার বিষয়ে বাধ্যবাকতা রয়েছে। সরকার সেখান থেকে আরও চার কিলোমিটার দূরে কেন্দ্র নির্মাণ করছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্যই এলএনজি, কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এখানে একধরনের আর্থিক যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে।’  

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রেহনুমা খানম, তানজিম উদ্দিন আহমেদ, মাহবুব সুমন প্রমুখ।