সভায় আনু মুহম্মদ বলেন, ‘রূপপুরের পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন গোপনীয় বলে প্রকাশ করা হয়নি। কাজেই বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। জনসাধারণকে অন্ধকারে রেখে এ ধরনের প্রকল্প দেশের উন্নয়নে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘রামপাল নিয়ে আমরা সরকরাকে যে কথা বলেছি, তারও কিছুই সরকার শোনেনি। তারা একতরফাভাবে সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে।’ তিনি প্রকল্পটি থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান।
আনু মুহম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার লিমিটেড (এনটিপিসি) সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বলছে, কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে সুন্দরবনের বাফার জোনের ৪ কিলোমিটার দূরে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কেন্দ্র নির্মাণ না করার বিষয়ে বাধ্যবাকতা রয়েছে। সরকার সেখান থেকে আরও চার কিলোমিটার দূরে কেন্দ্র নির্মাণ করছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্যই এলএনজি, কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এখানে একধরনের আর্থিক যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রেহনুমা খানম, তানজিম উদ্দিন আহমেদ, মাহবুব সুমন প্রমুখ।