পিজিসিবির অপটিক্যাল ফাইবার লিজ নিলো গ্রামীণফোন



চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠানে পিজিসিবি ও গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারাবিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড লাইনের ওপর স্থাপিত অপটিক্যাল ফাইবারের একাংশ গ্রামীণফোনকে লিজ দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি)। এ লিজের আওতায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করবে গ্রামীণফোন। সম্প্রতি পিজিসিবিরি প্রধান কার্যালয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে  এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) পিজিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বিস্তৃত পিজিসিবির অপটিক্যাল ফাইবার ওভারহেড লাইনের ওপরে থাকায় স্থানীয় প্রেক্ষাপটে অধিকতর নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মাটি খোঁড়াখুঁড়িসহ অন্যান্য কারণে এ লাইন কাটা পড়ার বিড়ম্বনা নেই। ফলে ডিজিটাল যোগাযোগের ক্ষেত্রে অন্যান্য অপটিক্যাল সংযোগের তুলনায় অপেক্ষাকৃত নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারে পিজিসিবি’র অপটিক্যাল ফাইবার। এ কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআারসি)-এর কাছ থেকে এনটিটিএন লাইসেন্স নিয়েছে পিজিসিবি।
গ্রামীণফোনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন হাটহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৪৯ কি.মি. একজোড়া অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহারের ভাড়া বাবদ পিজিসিবিকে বার্ষিক এককোটি সাত লাখ টাকা পরিশোধ করবে।
পিজিসিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন ও গ্রামীণফোনের পক্ষে চিফ প্রকিউরমেন্ট অফিসার আবুল কাশেম মহিউদ্দিন আল-আমীন চুক্তিপত্রে সই করেন। এ সময় পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম, মো. শাফায়েত হোসেন ও খোন্দকার মো. আব্দুল হাই, পরিচালক (ওপিজিডব্লিও) মো. আশরাফ হোসেন, গ্রামীণফোনের মহাব্যবস্থাপক হীরক কুমার পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা জানান, উভয়পক্ষের এ চুক্তির ফলে ইন্টারনেটে ডাটা বিনিময়, ভিডিও কনফারেন্সিং, ভয়েস কমিউনিকেশনসহ সব ধরনের ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি স্থিতিশীল হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে গ্রামীণফোনকে প্রথমবার অপটিক্যাল ফাইবার ভাড়া দিয়েছিল পিজিসিবি, যা ২০১৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। লিজের রেট পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে চুক্তি করা হয়েছে, যা ২০১৬ সালের মে মাস থেকে কার্যকর হয়েছে।