উল্লেখ্য, প্রতি বছর একবার শিফট পরিবর্তন করে কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিফট পরিবর্তনের আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রাখা হয়। এবারও পিডিবিকে এক লাখ টনের বেশি মজুদ রয়েছে বলে খনি কর্তৃপক্ষ জানায়।
গত সপ্তাহে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) সাঈদ আহমেদ বড়পুকুরিয়া খনি পরিদর্শন করে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ১০ হাজার টন মজুদ পান। সব মিলিয়ে যে কয়লার মজুদ রয়েছে, তাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আংশিক চালিয়ে রাখলেও এক সপ্তাহের বেশি চলার কথা নয় বলে তিনি তখনই জানিয়েছিলেন।
পিডিবি জানায়, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রর তিনটি ইউনিট একসঙ্গে চালানো হলে প্রতিদিন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। এখন একটি ইউনিট সংস্কারের জন্য বন্ধ থাকায় প্রতিদিন চার হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হচ্ছিল।
পিডিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, ‘উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বগুড়া থেকে কিছু বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। তবে তা দিয়ে পুরো উত্তরাঞ্চলের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন: ফেঁসে যেতে পারেন কয়লাখনির কর্মকর্তারা, মধ্যরাতে বন্ধ হচ্ছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র!