তেলের পাইপলাইন পরিচালনায় কোম্পানি গঠন করার পরিকল্পনা

তেলের পাইপলাইনপাইপলাইনগুলো পরিচালনার জন্য একটি কোম্পানি গঠন করার পরিকল্পনা করেছে জ্বালানি বিভাগ। এই কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা তেলের পাইপলাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

পেট্রোসেন্টারে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে দুইটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রথম প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন পদ্মা অয়েল কোম্পনির মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প)আমিনুল হক।

আমিনুল হক জানান, জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৫টি পাইপলাইন করতে যাচ্ছে বিপিসি। এরমধ্যে আছে সাগর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে স্থলভাগে নিয়ে আসার জন্য জ্বালানি তেল খালাস সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং টার্মিনাল (এসপিএম)করা হচ্ছে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইন, পিতলগঞ্জ থেকে কুর্মিটোলা পর্যন্ত পাইপলাইন, ইন্দো-বাংলা পাইপলাইন, বিমানে জেট অয়েল সরবরাহের জন্য গুপ্তখাল থেকে শাহ আমনত বিমানবন্দর পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন করতে যাচ্ছে বিপিসি। এসব পাইপলাইন স্থাপনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পাইপলাইনের নিরাপত্তা ও তেলের নিরাপত্তা। এজন্য তারা বেশ কিছু অত্যাধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছে। এরমধ্যে আছে স্কাডা পদ্ধতিতে পাইপলাইন পরিচালনা করা, লিক ডিকটেশন পদ্ধতির ব্যবস্থা করাসহ পুরো পাইপলাইন নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য একটি কোম্পানি গঠন করা হবে। এই কোম্পানির মাধ্যমে পাইপলাইনের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা প্রহরীও নিয়োজিত করা হবে।

অন্যদিকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে বলা হয়, আগামী কয়েক বছরে মধ্যে সাগরে মোট ৪টি কূপ খনন করা হবে। এরমধ্যে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি এসএস-০৪ এবং এসএস-০৯ ব্লকে তিনটি কূপ খনন করবে। অন্যদিকে সান্তোস এসএস-১১ নম্বর ব্লকে ১টি কূপ খনন করবে। এছাড়া ডিএস-১২ নম্বর ব্লকে পেসকো দাইয়ু ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক জরিপের কাজ শুরু করবে চলতি বছরের শেষ নাগাদ। এই জরিপের কাজের পর পরই তারাও একটি কূপ খননের কাজে হাত দেবে।