এর আগে সরকার ২০১৬ সালে আলোক উৎসবের আয়োজন করেছিল। ওই সময় বলা হয়েছিল দেশের বিদ্যুৎখাত ১৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দেশের ১২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ১৭ হাজার ৪৩ মেগাওয়াট। এরসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো থেকে আরও ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে প্রায় ২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সে হিসেবে মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়ায় ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট। এছাড়া আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে আসছে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ১৬ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট হলেও বাস্তবে সরবরাহ করা যায় গড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই অবস্থায় দেশে বর্তমানে গড়ে সাড়ে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট যা বর্তমানে ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। মাত্র ১০ বছরে এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে একটি বিরল অর্জন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহে আলোক উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে এটিকে স্মরণীয় করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮। ‘অনির্বাণ আগামী’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত এই সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ উপলক্ষে নেওয়া হয় নানা কর্মসূচি।