শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নেট মিটারিংয়ের সম্ভাবনা এবং বাস্তবায়ন জটিলতা নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টাস অব বাংলাদেশ (এফইআরবি) এবং সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএমএমএবি) যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন এই পদ্ধতি শুরু করতে অনেকে নানা চিন্তা করছেন। কিন্তু উদ্যোক্তা ছাদ ব্যবহার করলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪০ ভাগ ব্যয় সাশ্রয় হবে। এখানে জমির কোনও ব্যয় লাগবে না। আবার তিনি যখন বিদ্যুৎ পাবেন তখন গ্রিডের দামে বিদ্যুৎ পাবেন। আবার ছুটির দিনে তিনি পুরো বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করতে পারবেন। আমরা অনেক জায়গাতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চেয়েছি। এর মধ্যে বিমানবন্দরে সৌরবিদুৎ উৎপাদন করলে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সিভিল এভিয়েশন এতে আপত্তি জানিয়েছে। আমরা তাদের বলেছি দিলি বিমানবন্দরে এ ধরনের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তারা দেখে এসেছে। আশা করি তারা আমাদের প্রস্তাবে রাজি হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘নতুন বিদ্যুৎ সংযোগে সোলার যুক্ত করার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে। এর দায় ব্যবসায়ীদের। আমরাতো আর সোলার প্যানেল ভাড়া দেয়নি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য।’ এখন নেট মিটারিংয়ের এই উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করার সুযোগ নিতে আহ্বান জানান তিনি।
এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক সদরুল হাসানের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকার। এতে দু’টি মূল প্রবন্ধের একটি উপস্থাপন করেন এসএমএমএবি’ র প্রেসিডেন্ট মনোয়ার মিজবাহ মঈন এবং অন্যটি উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক শাকিলা আজিজ।