অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন

গ্যাসঅবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা আবারও বৈধ হওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। এর আগে ২০১৩ সালে  এমন সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সরকার আবারও সেরকম সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে।
এসব অবৈধ সংযোগের বিষয়ে কি করা হবে জানতে চাইলে জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংযোগগুলো কি করে বৈধ করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। তবে, এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু এলপিজি ব্যবহার বাড়ছে, তাই পাইপ লাইনের গ্যাসের সংযোগ উন্মুক্ত করার বিষয়ে এখনই চিন্তা করছে না সরকার। এর আগেও সরকার গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় অবৈধ ব্যবহারকারীদের বৈধ করে দিয়েছিল।’ আবারও একই সুযোগ দেওয়া হলে অবৈধ ব্যবহারকারীরা উৎসাহী হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি কিছু বলেননি।
জানা গেছে, গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় অনেকেই অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন। গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এক শ্রেণির ঠিকাদার অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছেন। কিন্তু, এভাবে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করলে সরকার রাজস্ব হারায়। মাঝে-মধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর আবার তা স্থাপন করে নিচ্ছে গ্রাহক। নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্থিরতার ভয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজও অনেকটা বন্ধ রাখা হয়েছে।

এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে আবার আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। তখন যেসব বাসাবাড়িতে আগেই গ্যাস রয়েছে, তাদের আগে সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়। কিন্তু, পরে আবার ওই প্রক্রিয়া থেকে সরে আসে সরকার।

২০১০ সাল থেকে সরকার আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সালে নির্বাচনকে সামনে রেখে আবার আবাসিক গ্রাহকদের সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে নির্বাচনের বছর খানেকের মধ্যে আবার আবাসিক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, এবার অলিখিতভাবে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।

তিতাস সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মাসে শিল্প, বাণিজ্যিক, ক্যাপটিভ ও আবাসিক চুলার মোট ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৬০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৬টিই আবাসিকের অবৈধ চুলার সংযোগ।