এখন আর বিদ্যুতের জন্য মিছিল করতে হয় না: নসরুল হামিদ

বক্তব্য রাখছেন নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ​, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে সাফল্যের পথে এগুচ্ছে। এভাবে এগুলে নির্ধারিত সময়ের আগেই এদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। জ্বালানি নিরাপত্তা আগামী বাংলাদেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। এখন আর জ্বালানি তেলের অভাব হয় না; বিদ্যুতের জন্য মিছিল করতে হয় না। এলএনজি গ্যাস (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) চাহিদা পূরণ করছে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিদ্যুৎ ভবনে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাফল্য নিয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘মানুষকে কীভাবে দ্রুত সেবা দেওয়া যায়, সে বিষয়ে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ঐক্যতানে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ করা প্রয়োজন। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কার্যক্রমে আরও অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বীকৃতি পরবর্তীতে ভালো কাজ করার উদ্দীপনা দেয়। সমান্তরালে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাফল্য এসেছে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, এপিএ বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের সব সংস্থা বা কোম্পানির নির্ধারিত এপিএ ইন্ডিকেটরগুলোর অগ্রগতির তথ্য সমন্বয় করা চ্যালেঞ্জ হলেও এ দু’টি বিভাগ সাফল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতের এপিএ-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার অটোমেশন, স্কাডা প্রতিষ্ঠা, প্রি-পেইড মিটার স্থাপন, গ্রাহক অভিযোগ নিষ্পত্তি গড়ে তোলার জন্য এপিএ বাস্তবায়নে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে এটুআইয়ের সহায়তায় একটি নতুন ই-সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।