১ আগস্ট থেকে ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে

সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি সচিব১ আগস্ট থেকে ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম। এছাড়া শিল্পে ঢালাওভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, গ্যাস রেশনিংয়ের সুবিধার্থে এখন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে, নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর করা হবে। এতে বলা হয়েছে−

১. নতুন গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

২. ভবিষ্যতে সিএনজি ব্যবহার কমিয়ে আনা হতে পারে এবং সহজ বিকল্প হিসেবে অটোগ্যাস থাকার কারণে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে হবে।

৩. বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজি’র সহজলভ্যতা এবং ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধির কারণে গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া আগের মতো স্থগিত রাখতে হবে। তবে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কারাগার এ নির্দেশনার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

৪. সব বিতরণ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির গ্যাস প্রাপ্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লোড বৃদ্ধি এবং নতুন সংযোগের আবেদন নিষ্পিত্তি করবে।

৫. অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে গ্যাস সংযোগের উদ্দেশ্যে পাইপলাইন স্থাপনসহ অন্যান্য কার্যক্রম অগ্রাধিকার পাবে।   

সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি সচিব বলেন, দেশে উত্তোলন করা গ্যাসের সঙ্গে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ফলে সরবরাহ ঘাটতি মেটানো এখন সহজ হবে। নতুন গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে শিল্পে গ্যাস সংযোগ ঢালাওভাবে দেওয়া হবে। নতুন সংযোগ আর লোড বৃদ্ধি সবই দেওয়া হবে। শিল্প ছাড়াও বিদ্যুৎ সার কারখানায় সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। আবাসিক, সিএনজি আর ক্যাপ্টিভে সংযোগ নিরুৎসাহিত করা হবে। তবে সিএনজি সংযোগের ক্ষেত্রে যারা ডিমান্ড নোট জমা দিয়েছেন, তাদের সংযোগ দেওয়া হবে। তবে তাদের বিনিয়োগ না করতে নিরুৎসাহিত করা হবে।

আবাসিকে গ্যাস সংযোগ না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমদানি করা গ্যাসের দাম বেশি। এই গ্যাস উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আবাসিকে ব্যাপক অপচয় হয়। সেই অপচয় বন্ধে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হলেও সংযোগের গতি খুব ধীর। এ পর্যন্ত মাত্র পৌনে তিন লাখ মিটার স্থাপন করা হয়েছে। সবাইকে মিটার দিতে হলে ৪২ লাখ মিটার প্রয়োজন হবে।’