১০০ কিলোওয়াট বর্জ্যবিদ্যুৎ উৎপাদনে সমঝোতা স্মারক সই

স্রেডবর্জ্যবিদ্যুৎ উৎপাদনে কুষ্টিয়া পৌরসভা টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  (স্রেডা) সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। সমঝোতা অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে ১০০ কিলোওয়াটের। কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি ওয়েস্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড। বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

এমওইউ-সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্রেডার চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া পৌর সভার মেয়র আনোয়ার আলি উপস্থিত ছিলেন। কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার আলী ও স্রেডার সচিব নিয়াজ রহমান নিজ-নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন।

এমওইউ-সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব বলেন, ‘শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই। এজন্য আমরা অনেক দিন থেকে বর্জ্যবিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের এমওইউটি সই হচ্ছে।’ নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে অস্টেলিয়ান ওয়েস্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। কেন্দ্রটি নির্মাণে সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয় হবে। আর এখানে গড় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ হবে ইউনিট প্রতি ১০ টাকার মতো।

এর আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বর্জ্যবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নারায়ণগঞ্জে পাঁচ মেগাওয়াট এবং কেরানীগঞ্জে এক মেগাওয়াট কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। তবে, এর আগে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্র নির্মণে একটি পক্ষকে কাজ দেওয়া হলেও তারা কাজ করেনি।

ইটালিয়ান কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট এনভায়রনমেন্ট ফিন্যান্স এসআরএলের সঙ্গে ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি চুক্তি করে।ঢাকার বর্জ্য দিয়ে দৈনিক ৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা ছিল কোম্পানিটির। পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি করে ১০০ মেগাওয়াট করার পরিকল্পনাও ছিল।তবে, ওই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি।এরপর বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রচেষ্টা চালালেও তা আর সফল হয়নি।