রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কনটেইনমেন্টের প্রথম ধাপের কংক্রিট ঢালাই শেষ

 

কনটেইনমেন্টরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিয়েক্টরের ভেতরের তেজস্ক্রিয়তা রোধে কনটেইনমেন্ট (প্রতিরোধক) স্থাপন করা হচ্ছে। সেই কনটেইনমেন্টের প্রথম পর্যায়ের কংক্রিট ঢালাই কাজ শেষ করা হয়েছে। আরও কয়েকটি ধাপে এই কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ করা হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান ট্রিউন গ্রুপ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার এই কনটেইনমেন্টের নির্মাণ কাজের একটি ধাপের কাজ শেষ করা হয়। 

এ বিষয়ে রূপপুর প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ইউরি কোশেলেভ ২০১৯ সালের জন্য এটিকে একটি মাইলফলক কাজ হিসেবে উল্লেখ করে জানান যে, এই কাজে ১ হাজার ১৪৫ ঘনমিটার উচ্চমানের আরসিসি ব্যবহৃত হয়েছে এবং রিয়েক্টর বিল্ডিং-এর উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ৬ মিটারের বেশি। তিনি আরও  জানান, যে প্রথম ইউনিটের রিয়েক্টর কমপার্টমেন্টে মূল যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ ২০২০ সালে শুরু হবে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি অত্যাবশ্যক অংশ হচ্ছে এই কনটেইনমেন্ট, যা যে কোনও জরুরি অবস্থায় পাশের পরিবেশে তেজস্ক্রিয় পদার্থেও নির্গমন রোধ করে। অভ্যন্তরীণ কনটেইনমেন্ট একটি সিলিন্ডার আকৃতির আরসিসি কাঠামো, যার উপরিভাগে থাকে অর্ধ-গোলাকার গম্বুজ (ডোম)। কনটেইনমেন্টের কাঠামোটির দেয়াল ১ দশমিক ২ মিটার পুরু এবং উচ্চতায় প্রায় ৭৩ মিটার। এই কনটেইনমেন্টকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে আরও একটি অত্যন্ত সুদৃঢ় কাঠামো, যা বাহ্যিক কনটেইনমেন্ট হিসেবে পরিচিত।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রোসাটম। কেন্দ্রটিতে তৃতীয় প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ রিয়েক্টর ভিত্তিক দুটি ইউনিট স্থাপন করা হবে, প্রতিটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। রিয়েক্টরের আয়ুষ্কাল ৬০ বছর। তবে তা আরও ২০ বছর বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।