ক্যাপাসিটর ব্যাংক হচ্ছে এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যার ভেতর বিদ্যুৎ চার্জ করে মজুত রাখা যায়। প্রয়োজনে সেই বিদ্যুৎ সরবরাহও করা যায়। বিতরণ লাইনের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই ব্যাংক বিতরণ ভোল্টেজ লস কমাতেও সহযোগিতা করে।
উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নেই। ফলে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এ অঞ্চলে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র করার পরিকল্পনা করা হলেও জ্বালানি সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। কারণ উত্তরাঞ্চলে কয়লা বা তেল পরিবহন কঠিন বিষয়। আবার ওই এলাকায় গ্যাসও নেই। এজন্য বিকল্প হিসেবে ক্যাপাসিটর ব্যাংক করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগে পিজিসিবির ৯টি ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। কয়লা সংকটে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বন্ধ হলে সে সময় জরুরি ভিত্তিতে পিজিসিবি আরও চারটি ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন করে। এরমধ্যে লালমনিরহাটে ১২.৫ মেগাভার, রংপুরে ২০ মেগাভার, পঞ্চগড়ে ১২.৫ মেগাভার এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৫ মেগাভারের ক্যাপাসিটর ব্যাংক বসানো হয়। ওই এলাকায় এখন ছয়টি ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে মোট ১৭৫ মেগাভার ক্যাপাসিটর ব্যাংক চালু আছে। সেচ মৌসুমের কথা বিবেচনা করে ওই অঞ্চলে আরও ৪৫ মেগাভার ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে পিজিসিবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। এজন্য ক্যাপাসিটর ব্যাংক বসাচ্ছি। বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে গ্রিড লাইনে কোনও সমস্যা হলে ক্যাপাসিটর ব্যাংক দিয়ে তার সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া ক্যাপাসিটর ব্যাংকের মাধ্যমে ভোল্টেজ লসও আমরা কমিয়ে আনতে পারবো।’