তিতাস গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আলী মো. মামুন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রমাণ পাওয়ায় তাদের আগেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিলাম আজ মামলা করা হয়েছে।
মামলায় যে ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রতন চন্দ্র দে, ব্যবস্থাপক রকিব উদ্দিন সরকার, উপ-ব্যবস্থাপক রজব আলি, মো. রেজাউল করিম খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন জাবেদ, সিনিয়র নিরাপত্তা প্রহরী মো. মাসুদ রানা, একই পদের আবুল কালাম আজাদ এবং মাকসুদুল হক।
তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে আবাসিক সংযোগ বন্ধ থাকার পরও সংযোগ বৃদ্ধির তথ্য বের হলে বিষয়টি আলোচনায় আসে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১২ সালে আবার সংযোগ চালু হলেও ২০১৩ সালের শুরুতেই তা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে প্রতি বছর তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সংযোগ বৃদ্ধির তথ্য উঠে আসে তাদেরই বার্ষিক প্রতিবেদনে। কিভাবে এই সংযোগ বৃদ্ধি পেলো এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের মধ্যেই বছরের শুরুর দিতে তদন্তে নামে তিতাস। তিতাসের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে আসা নয় লাখ ৬৬ হাজার বর্ধিত সংযোগের তদন্তে দেখা যায় সাত লাখ সংযোগই অবৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে সার্ভারে এন্ট্রি দেওয়া হয়েছে।
তিতাস গ্যাসের প্রশাসন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আপাতত মামলাটি এক হাজার ২৪৭টি সংযোগ দেওয়ার জন্য করা হলেও মামলায় সাত লাখ অবৈধ সংযোগ একই প্রক্রিয়াতে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তদন্তে কারা কারা এসব কাজে জড়িত তা উঠে আসবে বলে মনে করেন তিনি। কিভাবে এসব সংযোগ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সংযোগ দিয়ে রাতের অন্ধকারে তা সার্ভারে ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সার্ভারে এন্ট্রি দিলে সেটি কবে কখন দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ থাকে। এভাবেই এই ১২৪৭টি সংযোগের বিষয় উদঘাটন হয়েছে।