শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে পাক্ষিক এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘দুনিয়ার কোথাও সৌর বিদ্যুৎ মেইন স্ট্রিম বা প্রধান বিদ্যুতের উৎস হিসেবে কাজ করে না। যেসব দেশে জল বিদ্যুৎ রয়েছে তারাই শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ দিয়ে চলতে পারে। কিন্তু আমাদের এখানে সেই সুবিধা নাই। ভবিষ্যতে নেপাল এবং ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি সম্ভব হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে চলা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ইজি বাইকের জন্য যদি আমরা দিনে বিদ্যুতের চার্জের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা এখন রাতে গ্রিডের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। এজন্য পেট্রোল পাম্প এবং গ্যাস স্টেশনের ওপর সোলার দিয়ে ফাস্ট চার্জিং স্টেশন করা যেতে পারে।’
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধে ইডকলের হেড অব রিনউয়েবল এনার্জি ইনামুল করিম পাভেল বলেন, ‘ছাদের সোলার থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেতে পারে। দেশের শিল্প কারখানা এবং সরকারি ভবনের ছাদ ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। ইডকল এজন্য ১০ বছর মেয়াদি ঋণ দিচ্ছে। এখন ছাদের সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ৫ টাকা ২২ পয়সা প্রতি ইউনিট। সোলার বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে আসাতে ভবিষ্যতে এর দাম আরও কমে আসবে। ২০২৫ সাল নাগাদ সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা।’
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদের সঞ্চালনায় সেমিনারে আমেরিকা থেকে সোলাইক-এর দিদার ইসলাম, অস্ট্রেলিয়া থেকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, রহিম আফরোজ পাওয়ারের মনোয়ার মেজবাহ উদ্দিন, ইডকলের এসএম মনিরুল ইসলাম, জিআইজেড এর প্রকৌশলী আল মোদাব্বির বিন আনাম, ইস্টকোস্ট গ্রুপের তানজিল চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।