জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শামীমা ফেরদৌস স্বাক্ষরিত জ্বালানি বিভাগ প্রণীত উত্তম চর্চা তালিকার তিন নম্বরে এই বিধান যুক্ত করা হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আজই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের অধীন সব প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে পর গ্যাসের আগুনে ঝলসে ৩৪ মুসল্লির মৃত্যুর পর তিতাসের কর্মকর্তাদের সততা এবং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর জ্বালানি বিভাগের সমন্বয় সভায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল ফাত্তাহ প্রত্যেকটি বিতরণ কোম্পানিতে সংকট থাকার কথা জানান। একই বৈঠকে উঠে আসে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানিকে নিয়ে দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সুপারিশের কথা। এই ঘটনার পর জ্বালানি বিভাগ যেন নড়ে চড়ে বসেছে।
সরকারি কর্মকর্তারা চাকরি করবেন, আর এর জন্য নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক পাবেন, এটি স্বাভাবিক বিষয়। কর্মকর্তারা সবাই সৎভাবে কাজ করবেন চাকরি বিধিতেই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে এখন আলাদা করে সৎ মানুষ খুঁজে বের করতে হচ্ছে। জ্বালানি বিভাগের অধীন বেশিরভাগ কোম্পানি সরাসারি মানুষের সেবা করে থাকে। বিশেষ করে গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গ্যাসের লইন দেওয়া থেকে প্রতি মাসে বিল দিতে গিয়ে সরাসরি মানুষের সঙ্গে কাজ করে থাকে। সেখানে নানাভাবে অবৈধ সুযোগ নিয়ে অবৈধ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন অনেকে। তিতাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছিল, সেখানে এসব বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
সৎ কর্মীদের স্বীকৃতি দেওয়া হলেও অসৎ কর্মীদের বিষয়ে কঠোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তা অবশ্য এই নির্দেশনায় উল্লেখ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি পেলে কর্মীরা উৎসাহী হবেন। সৎভাবে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন—এমন চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এই নির্দেশনায় প্রিন্টিং সেবা চালু, প্রতিটি বিভাগে লাইব্রেরি স্থাপন, করোনাকালীন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ প্রতিদিন তাপমাত্রা পরিমাপের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।