সোলার হেল্প ডেস্ক: ওয়েবসাইটে আছে, বাস্তবে নেই!

9ওয়েবসাইট আছে, হট লাইনও আছে! কিন্তু বাস্তবে কোনও কার্যক্রমই নেই সোলার হেল্প ডেস্কের। টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) ওয়েবসাইটে সোলার হেল্প ডেস্কের এই চিত্র দেখা গেছে।

সম্প্রতি সোলার হেল্প ডেস্ক চালু হবে এমন ঘোষণা দেয় স্রেডা। এরপর স্রেডার ওয়েবসাইটে (https://nshd.sreda.gov.bd/) সোলার ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক নামে একটি ওয়েবসাইটও জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ওয়েবসাইট ধরে হট লাইনের নম্বরে (২৩২৩) ফোন করা হলেও ওপাশ থেকে কেউ রিসিভ করেনি। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এ কেমন হেল্প ডেস্ক চালু করলো স্রেডা!

হেল্প ডেস্কের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা গেছে, এখানে সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য রয়েছে। স্রেডার সঙ্গে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী (জিআইজেড) যৌথভাবে হেল্প ডেস্ক চালু করেছে। বলা হচ্ছে, একজন মানুষ ঘরে বসেই সোলার সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন এখানে। শুধু তা-ই নয়, এখানে সোলার সংক্রান্ত আবেদনও অনলাইনে করা যাবে। আবেদনের অনুমোদনের বিষয়গুলোও এখান থেকে নজরদারি করা যাবে। কিন্তু চালু না হলে এই উদ্যোগ কেবল ওয়েবসাইট প্রকাশের মধ্যে আটকে থাকলে সুফল মিলবে না।

করোনার মধ্যে সাধারণত অফিসে অফিসে দৌড়ে আবেদন করা, এর অনুমোদন নেওয়া গ্রাহকের জন্য কঠিন বিষয়। এখন এই হেল্প ডেস্কটি কার্যকর হলে গ্রাহক সহজে সেবা পেতো।

এখনও হেল্প ডেস্কটি চালু না করতে পারাকে কেমনভাবে দেখছেন—জানতে চাইলে স্রেডার চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘করোনার কারণেই এখনও হেল্প ডেস্কটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা যায়নি। আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত এটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

সরকার সারাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য স্বল্প পরিমাণ ঋণও দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (ইডকল)। কিন্তু নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় নেই অধিকাংশ মানুষের। ফলে এটির ভালো বা মন্দ দিক সম্পর্কে অনেকেই কিছু জানেন না। সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্রেডাকে। কিন্তু স্রেডাও উল্লেখযোগ্য কোনও সাফল্য দেখাতে পারেনি।

বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘মানুষ দিনের বেলা বাড়ির ছাদে লাগানো সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে তার বিদ্যুতের বিল অন্তত ৬০ ভাগ কমে আসে। এজন্য কিছু বিনিয়োগ প্রয়োজন হলেও দীর্ঘমেয়াদে বিষয়টি লাভজনক। এজন্য নানা ধরনের অনুমোদন প্রয়োজন। স্রেডা থেকেই সেই অনুমোদন নিতে হয়। তবে সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসে এসব বিষয়ে কাজ করাটাও দুরূহ। এজন্য হেল্প ডেস্কটি সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এটি চালু করতে বেশি সময় ক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে স্রেডার বিরুদ্ধে।’