গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জে

দিনভর ভোগান্তির পর নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে এখনও সব এলাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে। মেরামতের জন্য নয়, ঘাটতির কারণে কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ কম আছে। তিতাস কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯) রাতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।

কিন্তু এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরবরাহ শুরু হলেও কোথাও কোথাও গ্যাস আসেনি। এলেও চাপ বেশ কম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা লাইন চালু করেছি। কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ কম আছে। সেটা মেরামতের জন্য নয়; ঘাটতির কারণে কম পাচ্ছি আমরা। তাই বিষয়টি আমাদের হাতে নেই।’ সরবরাহ বাড়লে চাপও বাড়বে বলে তিনি জানান।

তিতাসের অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিকাল ৫টার দিকে আমরা মেরামত শেষ করে লাইন চালু করেছিলাম। এখন গ্যাস আসতে শুরু করেছে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, আজ (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সিদ্দিরগঞ্জ-গোদনাইল আরএমএস এবং গোদনাইল টিবিএস এ কয়েকটি ভালভে লিকেজ পায় তিতাস। তাই জরুরিভিত্তিতে ভালভ প্রতিস্থাপনের জন্য নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনোরকম পূর্বনোটিশ ছাড়া হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েন নারায়ণগঞ্জবাসী।

নারায়ণগঞ্জের গলাচিপা, আমলা পাড়া, কলেজরোডের বেশ কয়েকজনের গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন গ্যাস এসেছে। কিন্তু চাপ এত কম যে রান্না করা কঠিন।

আমলাপাড়ার বাসিন্দা নয়ন সিকদার জানান, সন্ধ্যার পর গ্যাস আসতে শুরু করেছে। এখন আগের চেয়ে চাপ বেশি। তবে কলেজরোডের শামীমা জানান, চাপ কম তাই এখনও রান্না করার উপায় নেই।

এর আগে সকাল থেকে গ্যাস না থাকায় এলাকার বেশিরভাগ মানুষ হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে খেয়েছে। কেউ কেউ কেরোসিনের চুলায় দুপুরের রান্না করেছে।

এদিকে ওই এলাকার শিল্প মালিকদের প্রায় ‘মাথায় হাত’ অবস্থা। সারাদিন উৎপাদন বন্ধ ছিল। অনেক টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে বলে জানান তারা।