ডেসকোর কাজে ধীরগতিতে প্রতিমন্ত্রীর ক্ষোভ

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) নবনির্মিত ২৪টি বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এগুলো নির্মাণ কাজের ধীরগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ২৪টি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশনের উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে ফাইন্যান্সিয়াল ও ইকোনমিক্যাল যে ক্ষতি হবে তার প্রভাব হবে দীর্ঘমেয়াদী।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ২৪টি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন ডিজাইন, সরবরাহ, ইন্সটলেশন ও কমিশনিং করার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চুক্তি করে ডেসকো। চুক্তি অনুযায়ী সাবস্টেশনগুলো ১৮ মাস পর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসেই চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সাবস্টেশনগুলো নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ২৭ মাস পরে কাজ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ নির্ধারিত দেড় বছরের কাজ শেষ করতে সময় লেগে গেছে প্রায় সাড়ে তিনবছর।

এতে ক্ষুব্ধ প্রতিমন্ত্রী এক পর্যায়ে তৃতীয় কোনও পক্ষ দিয়ে কাজের গুণগত মান পরীক্ষার কথাও বলেন। সেই সঙ্গে ডেসকোকে দ্রুতগতিতে চাহিদা মোতাবেক গ্রাহকসেবা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়ে বলেন, সেবা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো আবশ্যক। ডেসকো এলাকায় স্ক্যাডা, ভূগর্ভস্থ তার, ভুগর্ভস্থ উপকেন্দ্র ও আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপনের কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে।

ডেসকো পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ ফয়েজুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ডেসকোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৪টি সাবস্টেশন কার্যকর হওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৭৩৬ এমভিএ সক্ষমতা বাড়বে, সাড়ে চার লাখ নতুন গ্রাহকের সুবিধা বাড়াবে, সিস্টেম লস কমবে, লো-ভোল্টেজ সমস্যা সমাধান হবে, উত্তরা তৃতীয় ফেজ ও পূর্বাচলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সিস্টেম শক্তিশালী হবে এবং মানসম্পন্ন বিদ্যুতায়নে গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়বে।