‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিই হবে আগামী দিনের মূল জ্বালানি’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিই হবে আগামী দিনের মূল জ্বালানি। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ফুয়েল মিক্সে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ক্রমশ বাড়ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে।

রবিবার (২০ জুন) চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড-এ ১৬ মেগাওয়াট রুপটপ সোলার পাওয়ারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত লি ঝান কেন ও কোরিয়ান ইপিজেড’র চেয়ারম্যান কিহাক সাঙ বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেট মিটারিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর রুপটপ সোলার জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে স্থাপন করতে পারলে ব্রেকইভেনে যেয়ে এটা একটা ভালো বিসনেজ মডেল হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, সৌরবিদ্যুৎ করতে অনেক জমির প্রয়োজন। জমি কম লাগে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা প্রয়োজন। বায়ু বিদ্যুৎ, ওশান রিনিউবল এনার্জি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ ইত্যাদি আগামীর জ্বালানি মিশ্রণে ব্যাপক অবদান রাখবে। ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জ্বালানি হবে গ্রিন এনার্জি।

উল্লেখ্য, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড জেনারেশনকে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নেট মিটারিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক নিজ স্থাপনায় স্থাপিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক সিস্টেমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজে ব্যবহার করে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিতরণ গ্রিডে সরবরাহ করেন। এভাবে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল পরবর্তী মাসের সাথে সমন্বয় করা হয়। এ প্রক্রিয়ার ফলে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হয়। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস হতে ৭৩০ দশমিক ৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।