এলপিজির দাম পুনর্নির্ধারণে অনুষ্ঠেয় গণশুনানি স্থগিত

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস-এলপিজির দাম পুনর্নির্ধারণের জন্য ডাকা গণশুনানি আপাতত হচ্ছে না। করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

শুক্রবার (২ জুলাই) এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কমিশন।

কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ রোধকল্পে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১ থেকে ৭ জুলাই সাবিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই সময় সব ধরনের অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আগামী ৭ জুলাই রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ একেএম শামসুল হক খান মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠেয় এলপিজির মূল্য পুনর্নির্ধারণের গণশুনানি স্থগিত করা হয়েছে। শুনানির পরবর্তী স্থান, তারিখ ও সময় পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের আদেশে গত ১০ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণের জন্য গণশুনানি করে কমিশন। এরপর গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। পরে প্রতি মাসেই আমদানি মূল্য বিবেচনায় নিয়ে এলপিজির দাম সমন্বয় করে আসছিল বিইআরসি। গত ৩০ জুন সবশেষ দাম ঘোষণা করে তারা।

কিন্তু এলপিজি ব্যবসায়ীরা শুরু থেকেই ঘোষিত মূল্যের বিরোধিতা করে আসছিলেন। এমনকি বিইআরসি নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করেননি তারা।

এদিকে এলপিজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-লোয়াব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, কমিশন যে দাম নির্ধারণ করেছে, তার সঙ্গে পরিবহন ব্যয়সহ অন্য যে চার্জগুলো ধরেছে, তা অনেক কম। লোয়াব মজুতকরণ, বোতলজাতকরণ, ডিলার ও খুচরা পর্যায়ের মাশুলেও পরিবর্তন চায়।

এ অবস্থায় গত মাসে কমিশনের লাইসেন্সধারী ২৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৮টি কোম্পানি এলপিজির  মূল্য পুনর্নির্ধারণের জন্য চিঠি দেয় বিইআরসিকে।

এরপরই কমিশন তিন মাসের মাথায় এসে আবারও আগামী ৭ জুলাই গণশুনানির তারিখ ঘোষণা করেছিল।