সরকারি প্রকল্পের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি জমি!

পড়ে আছে খাসজমি। নেই কোনও স্থাপনাও। কিন্তু নীতিমালার কারণে সরকারি প্রকল্পের জন্য সেই জমি চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের একমাত্র সরকারি এলপিজি কোম্পানি এলপি গ্যাস লিমিটেডের বেলায় এমনটিই ঘটেছে।

এলপিজির বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার এলপিজি কারখানা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এ জন্য দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে এলপিজি প্লান্ট সম্প্রসারণের নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারি কোম্পানিকে।

এলপি গ্যাস লিমিটেড জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে দেখা দেয় বিপত্তি। যে খাস জমিটি চাওয়া হয় সেটা বন মন্ত্রণালয়ের বলে দাবি করা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ওই জমিতে তারা বনায়ন করবে। তাই ইজারা দেওয়া যাবে না।

বন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সভায় বিষয়টির সুরাহা হয়। যখন জমি পাওয়ার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত, তখন গোল বাঁধে দাম নিয়ে।

এলপি গ্যাস লিমিটেড সূত্র জানায়, ১০ একর জমির জন্য ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়। চলতি বছর ২৩  ফেব্রুয়ারিতে আবার অনুরোধ করার পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জানান, সীতাকুণ্ড বেড়িবাঁধের বাইরে প্রতি একর জমির দাম ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

কিন্তু এলপি গ্যাস লিমিটেড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাঁধের বাইরের জমির দামের তুলনায় ভেতরের জমির দাম প্রায় অর্ধেক-দুই কোটি টাকা। এ ছাড়া বাঁধের বাইরের জমি কিনে তা উন্নয়ন করতে গেলে বাড়তি টাকার দরকার হবে।

এলপি গ্যাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু হানিফ বলেন, আমরা সরকারি জমি পাইনি। তাই বেসরকারি জমি কেনার উদ্যোগ নিয়েছি। একটি কমিটি করেছি। তারা সীতাকুণ্ডের চারটি এলাকা পরিদর্শন করেছে। জমি কেনায় স্বচ্ছতার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। শিগগিরই কিনবো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সরকারি জমি দিতে গেলে মূলদামের তিনগুণ দিতে হয়। আর বেসরকারি কোম্পানি নিতে চাইলে দিতে হবে চারগুণ দাম।