‘কারখানা চলছে কিন্তু গ্যাস বিল দিচ্ছে না’

ছয় মাসের মধ্যে গ্যাসের খেলাপি বিল শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। বিল না দিয়ে বিতরণ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে অনেকে গ্রাহক। সেগুলোর শুনানির নির্দেশও দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। 

বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। ডিসেম্বরে এ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ছিল ৭২৫ কোটি টাকা। মে’তে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭০ কোটি টাকায়। অন্য বিতরণ কোম্পানির বকেয়ার গ্যাস বিলের পরিমাণ কমলেও বাখরাবাদের চার মাসে বেড়েছে ৪৪ কোটি টাকা। 

জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান সম্প্রতি এক সমন্বয় সভায় বকেয়া বিল শূন্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেন। বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ জোরদার করতে হবে বলেও জানান তিনি। 

জানতে চাইলে জ্বালানি বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও অনেক গ্রাহক বিল পরিশোধ করছেন না। যার প্রভাব পড়ছে এলএনজি আমদানিতে। এ কারণেই বিতরণ কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে তাগাদা দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক শিল্প-কারখানা করোনার মধ্যে গ্যাস বিল পরিশোধ না করে নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। বাসাবাড়ির গ্রাহকের অবস্থাও একই। অনেকে বিল আপাতত পরিশোধ না করার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়েও যোগাযোগ করছেন। আমরা বলতে চাচ্ছি, যদি কারখানা না চলে তবে গ্যাস বিল বেশি আসার কথাও নয়। মাস শেষে দেখা যাচ্ছে বিল ঠিকই আসছে। তারমানে কারখানা ঠিকই চলছে, কিন্তু বিল দিচ্ছে না। এভাবে চলতে পারে না।’

এ বিষয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বলেন, ‘গত কয়েক মাসে তিতাসের বকেয়া কমে এসেছে। পর্যায়ক্রমে আরও কমবে। করোনার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম কমিয়ে আনলেও আবার তা জোরদার করা হচ্ছে।’