বিপিসি-পেট্রোবাংলায় নেই সমন্বয়, পড়ে আছে কনডেনসেট

একই মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ—বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। দুই বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ বহু দিনের। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের দুই সংস্থার মধ্যেও সমন্বয়হীনতা প্রকট হয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ গড়িয়েছে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত। এখনও সুরাহা হয়নি বিষয়টির। এতে করে ভোলা গ্যাসক্ষেত্রে জমে থাকা মূল্যবান কনডেনসেট (বিভিন্ন প্রকার জ্বালানি তৈরির কাঁচামাল) পুড়িয়ে ফেলার কথাও ভাবা হচ্ছে।

জ্বালানি বিভাগের এক সভায় যুগ্মসচিব (অপারেশন) বলেন, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির আওতাধীন ভোলা গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলনের সময় কনডেনসেট জমা হয়। কিন্তু বিপিসির সঙ্গে চুক্তি না থাকায় বিপিসি এই কনডেনসেট নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে কনডেনসেট জমতে জমতে এখন আর রাখার জায়গাই নেই৷

সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা এর আগে বিপিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু বিপিসি কনডেনসেট নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এখন এত বেশি জমেছে যে রাখার জায়গা নেই। পুড়িয়ে ফেলা ছাড়া উপায়ও নেই।’

সূত্র বলছে, কনডেনসেট প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলো সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায়। ভোলা থেকে কনডেনসেট সেখানে নিয়ে যাওয়া কঠিন। এ কারণেই বিপিসি কনডেনসেট নিতে আগ্রহ দেখায় না।

প্রসঙ্গত, কনডেনসেট হলো গ্যাসক্ষেত্রের এমন এক উপজাত, যা প্রক্রিয়াকরণ করে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, এলপিজিসহ বিভিন্ন ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন করা হয়।

এদিকে, দেশে পড়ে থাকলেও বিদেশ থেকে কনডেনসেট আমদানি করে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জ্বালানি পণ্য উৎপাদন করছে। তবে উৎপাদিত পণ্যগুলো আবার বিপিসির কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করতে হয় তাদের৷

সভায় জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান বিষয়টি সমন্বয় করে পেট্রোবাংলা এবং বিপিসিকে একটি চুক্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন।