কার্বন নিয়ন্ত্রণে মানসম্মত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার জরুরি

জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করে কার্বন দূষণ নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্য অর্জনে মানসম্মত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কোনও বিকল্প নেই। কেননা কেবলমাত্র আবাসিক খাতেই ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় যার বড় অংশ সাশ্রয় করা সম্ভব এর দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত এনার্জি এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড প্রোডাক্টস লেবেলিং শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্রেডা ও জিআইজেডের সহায়তায় আয়োজন এই ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন সাসটেনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (স্রেডা) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনিস্টিটিউটের (বিএসটিআই) স্ট্যান্ডার্ড বিভাগের উপ-পরিচালক রহিমা তালুকদার। আরও বক্তব্য রাখেন এনার্জিপ্যাক ইলেক্টনিক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আকতার, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চিফ বিজনেস অফিসার আনিসুর রহমান মল্লিক, ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মোহাম্মদ সাহেরুল আজম এবং জিআইজেড এর আইইইপি ২ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার আল মুদাবির বিন আনাম।
 
মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার অর্জন দ্বিগুণ করার জন্য স্রেডা এনার্জি এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড কনজারভেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার কার্বন দূষণ রোধে যে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা অর্জনে এর পুরোপুরি বাস্তবায়নের কোনও বিকল্প নেই। এজন্য বাতি, ফ্যান, এসি, ফ্রিজ এর মতো পণ্যের মান নির্ধারণ এবং লেবেলিং এর মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা দরকার। স্রেডা এটার জন্য প্রবিধানের খসড়া চূড়ান্ত করেছে এবং তা বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ইতোমধ্যে বিএসটিআই তাদের মান নির্ধারণ করা পণ্যে লেবেলে কিউআর কোড চালু করতে যাচ্ছে। 

জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম  বলেন, জ্বালানির দক্ষ ব্যবহারের জন্য পণ্যমান নিশ্চিত করতে হলে কেবলমাত্র ভোক্তাদের সচেতন করলে হবে না। নীতি নির্ধারক ও বাস্তবায়নকারী সকলকে সচেতন করতে হবে। তিনি মনে করেন, স্রেডাকে কেবল দায়িত্ব দিলেই হবে না কাজের জন্য আইন প্রণয়ন করে স্রেডাকে স্বাধীন রেগুলেটর বানাতে হবে।