দাম কমলো এলপিজি সিলিন্ডার ও অটোগ্যাসের 

পর পর তিনবার বাড়ানোর পর এবার কমলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত এলপিজির (অটোগ্যাস) দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশেও দাম কমানো হলো। 

চলতি ডিসেম্বর মাসের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে মূসকসহ প্রতিকেজি এলপিজি ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা ৩২ পয়সা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩১৩ টাকা থেকে কমে হলো ১ হাজার ২২৮ টাকা। সিলিন্ডার প্রতি কমলো ৮৫ টাকা। 

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) থেকেই এই দাম কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার অনলাইনে বিইআরসি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব রুবিনা ফেরদৌসী, সদস্য মকবুল ই ইলাহি, আবু ফারুকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও কমানো হয়েছে। প্রতিকেজি ১০৬ টাকা ১৯ পয়সা থেকে কমিয়ে ৯৯ টাকা ০৮ পয়সা করা হয়েছে।

নভেম্বর মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৩১৩ টাকা করা হয়, একইভাবে অক্টোবর মাসে এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২৫৯ টাকা করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একইসঙ্গে কমেছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। ডিসেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬১ টাকা ১৮ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৭ টাকা ২৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। লিটারে কমেছে প্রায় ৩ টাকা ৯৪ পয়সা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সৌদি সিপি অনুসারে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৭৯৫ এবং ৭৫০ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় ডিসেম্বরের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে; যা নভেম্বরে ছিল যথাক্রমে প্রতি টন ৮৭০ ডলার এবং ৮৩০ ডলার। অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে প্রতি টন ৮০০ ডলার এবং ৭৯৫ ডলার।

শুধু ১২ কেজি নয়, সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই কমানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।